শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১ |   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফাঁকা বুলিই সম্বল, খালেদার জন্য কিছুই করতে পারেনি নেতারা 

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৫ ০৩ ০২  

ফাঁকা-বুলিই-সম্বল-খালেদার-জন্য-কিছুই-করতে-পারেনি-নেতারা 

ফাঁকা-বুলিই-সম্বল-খালেদার-জন্য-কিছুই-করতে-পারেনি-নেতারা 

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে দলের নেতারা বারবার বলতেন, নেত্রীকে নাকি তারা কখনো কারাগারে যেতে দেবেন না। অবশেষে ২০১৮ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি ঠিকই খালেদা জিয়া কারাগারে গেলেন। অথচ বিএনপির নেতারা বসে ছিলেন হাত গুটিয়ে। 

এরপর বিএনপি নেতারা বললেন, তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে তারা নেত্রীকে কারাগার থেকে বের করবেন। সেটিতেও তারা ব্যর্থ। বর্তমানে শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়া মুক্তি পেলেও, মুক্তি পায় সরকারের অনুকম্পায়। বেগম জিয়া মুক্ত আকাশের বাইরে আছেন প্রায় সাড়ে তিন বছর হলো। এতদিনে ফাঁকা বুলি ছাড়া বিএনপি নেতারা কিছুই করতে পারেনি।

অবশেষে বেরিয়ে এলো থলের বিড়াল, ফাঁস হলো খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন নিয়ে বিএনপি নেতাদের রহস্যময় অনীহার নেপথ্য কথা। 

পিঠ বাঁচানোর পাশাপাশি মামলা থেকে রেহাই পেতে এবং ক্ষমতাসীনদের সন্তুষ্ট রাখতেই মির্জা ফখরুলরা ইচ্ছাকৃতভাবে আইনি মারপ্যাঁচের এমন প্রহসনের নাটক করেছেন বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি লন্ডনে চলে যাওয়া বিএনপিত্যাগী এক নেতার এমন মন্তব্যে যুক্তরাজ্য বিএনপিতে চলছে তোলপাড়। খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের লুকোচুরি ও পিঠ বাঁচানোর অপরাজনীতির বিষয়টি জেনে হতবাক ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন খোদ তারেক রহমানও। 

যুক্তরাজ্য বিএনপির এক শীর্ষ নেতার বরাতে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহীন গত ২০ জানুয়ারি গোপনে এম মোরশেদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিএনপি ত্যাগ এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন নিয়ে নেতাদের জুয়া খেলার বিষয়ে জানতে পেরেছেন।

তিনি মোরশেদ খানের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার জেল ও মুক্তির আন্দোলনকে স্তিমিত রাখতে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আঁতাত করেছেন মির্জা ফখরুলরা। 

একইসঙ্গে মামলা ও জেল-জরিমানা থেকে বাঁচতে করেছেন নিদারুণ গড়িমসিও। এ নিয়ে তৃণমূল থেকে আন্দোলন গড়ে তোলার শত অনুরোধ এলেও কৌশলে তাদের আন্দোলন থেকে নিবৃত রেখেছেন মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, জমির উদ্দিন সরকার ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মতো কৌশলী নেতারা। 

পাশাপাশি তারেক রহমানকেও ভুলভাল বুঝিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধা দিয়েছেন এই নেতারা। যার ফলে খালেদা জিয়াকে ২৫ মাস কারাগারে থাকতে হয়েছে, এমনকি এখনো তাকে মুক্ত করা যায়নি।

এদিকে এম মোরশেদ খানের এমন বিতর্কিত তথ্য তারেক রহমানের কানে পৌঁছালে তিনি বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে যুক্তরাজ্য বিএনপির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

একইসঙ্গে নিজেরা বাঁচতে খালেদা জিয়াকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করার যে হীনমন্যতা মির্জা ফখরুলরা দেখিয়েছেন, তা নিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তিনি। কিন্তু দলের বিপর্যয়ে মুখ ফুটে এখনই এর প্রতিবাদ করতে না পারলেও সুদিন ফিরলে ঠিকই তাদের ব্যাপারে কঠিন সিদ্ধান্ত নেবেন বলে কঠোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

Provaati
দৈনিক প্রভাতী
এই বিভাগের আরো খবর